literature and its cinema

সেলুলয়েডে শরৎচন্দ্র

বঙ্কিমচন্দ্র, রবীন্দ্রনাথ পরবর্তী কথাসাহিত্যের জগতে আরেক সাহিত্যিক হলেন শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়। অপরাজেয় কথাশিল্পী হিসেবে তাঁর খ্যাতি বাল্য কৈশোর যৌবনের খানিকটা বাউন্ডুলের মতো কাটিয়েছেন। কোথাও বসেননি এই ভবঘুরে মনটা নিয়ে তিনি যে বিরাট ব্যাপক অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছিলেন তার প্রতিফলন পড়েছে তাঁর সাহিত্যের মধ্যে। ফলে সেই সাহিত্য অত্যন্ত প্রাণবন্ত হয়ে উঠেছিল। অসংখ্য উপন্যাস ও ছোটগল্প তিনি লিখে রেখে গিয়েছেনএখনও তিনি এই বাজারে ‘বেস্ট সেলার’তাঁর অসংখ্য গল্প উপন্যাস নিয়ে বহু বাংলা ছবি নির্মিত হয়েছে কোনও কোনও গল্পের চিত্ররূপ একাধিকবার পাওয়া গিয়েছে তার মূল কারণ, তাঁর গল্পের মধ্যে এমন সম-উপাদান রয়েছে যা দর্শকদের মুগ্ধ করতে বাধ্য।

Sharat Chandra
শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়

দর্শক উৎকণ্ঠিত হয়ে দেখছেন ছবির শেষ দৃশ্য। …মৃত্যু পথযাত্রী এক যুবককে নিয়ে একটি গরুর গাড়ি এসে থামল হাতিপোতা গ্রামের জমিদার বাবুর বাড়ির সামনে গাড়োয়ান খুব কষ্ট করে মুমূর্ষু সেই যুবককে তুলে এনে শুনিয়ে দেন জমিদার বাড়ির ফটকের সামনে বাধানো অশ্বথ্ব গাছের তলায়। জমিদারের কানে খবরটি পৌঁছয়। ডাক্তার ডাকা হয় ভোর বেলায়। জমিদারবাবু পুলিশ স্টেশনেও খবর দেন ইন্সপেক্টর এসে  তদন্ত করে যান ততক্ষণে যুবকের মৃত্যু ঘটেছে। নাক মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছে। প্লীহা লিভারের রোগে মৃত্যু হয়েছে। জমিদার ভুবনবাবুর ছেলে মহেন্দ্রর কাছ থেকে তার সৎ মা পার্বতী জানতে পারেন মৃত ঐ যুবকের নাম দেবদাস মুখোপাধ্যায় মৃতের পকেটে দুটি চিঠি পাওয়া গিয়েছে একটি তাঁর দাদা দ্বিজদাসের লেখা অপরটি তাঁর মা হরিমতি দেবীর লেখা মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে পার্বতীর। তাঁর দেবদা আর নেই? অন্দরমহল থেকে ছুটতে শুরু করেন পার্বতী খবর পৌঁছে যায় জমিদারের কাছে। সিংহদুয়ার বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশ দেন জমিদার। সিংহদুয়ারে আছাড় খেয়ে সংজ্ঞা হারান পার্বতী। দুটি হৃদয়ের মিলন আর হয় না চিরকালের ব্যর্থ প্রেমিক হিসেবে চিহ্নিত হয়ে যান দেবদাস।… 

শরৎচন্দ্রের এই অমর কাহিনিকে যিনি প্রথম সবাক চলচ্চিত্র দর্শকদের উপহার দেন তিনি হলেন প্রমথেশ বড়ুয়া। একই সঙ্গে প্রযোজক, পরিচালক, চিত্রগ্রাহক, নায়ক হিসেবে বাংলা ছবির প্রত্যুষ পর্বকে উজ্জ্বল করে রেখে গেছেন প্রমথেশ বড়ুয়া। ১৯৩৫ সালে বাংলা ছবির জগতের সর্বব্যাপী নিউজ হল দেবদাস। কারণ ওই সালেই নির্মিত হয়েছিল দেবদাসের কালজয়ী চলচ্চিত্রায়ন নাম ভূমিকায় প্রমথেশ বড়ুয়া। পার্বতীর চরিত্রে যমুনা বড়ুয়া। চন্দ্রমুখী চরিত্রে চন্দ্রাবতী দেবী। চুনিলালের ভূমিকায় অমর মল্লিক। আজকের ভাষায় সুপার-ডুপার হিট ছবি। রাতারাতি বাংলাদেশের চিত্রমোদীদের অন্তর জয় করে নিল। ছবিটি কালোত্তীর্ণ। লেখক স্বয়ং মুগ্ধ হলেন তাঁর উপন্যাসের এই অভাবনীয় চলচ্চিত্রায়ন দেখেএরপর প্রমথেশ হিন্দিতে নির্মাণ করলেন এই দেবদাস সেখানে অবশ্য নাম ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন কুন্দনলাল সায়গল। বাংলা ও হিন্দি দুটোরই print এখন দুষ্প্রাপ্য।

P.C. Barua
প্রমথেশ  বড়ুয়া

দেবদাস ছবি দিয়ে কিন্তু শরৎচন্দ্রের কাহিনি চিত্ররূপ শুরু হয়নি। শরৎচন্দ্রের গল্প নিয়ে প্রথমবার যে সবাক চিত্র আমরা পেলাম সেটি ‘দেনা পাওনা’পরিচালক প্রেমাঙ্কুর আতর্থী। চিত্রগ্রাহক নীতিন বসু। সুরকার রাইচাঁদ বড়াল। মুখ্য চরিত্রগুলিতে অভিনয় করলেন দুর্গাদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, অমর মল্লিক। ১৯৩১ সালের ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল নিউ থিয়েটার্স-এর ব্যানারে শিশির ভাদুড়ীর পরিচালনায় নির্মিত হল শরৎচন্দ্রের ‘পল্লী সমাজ’ এতে অভিনয় করলেন শিশির ভাদুড়ী, বিশ্বনাথ ভাদুড়ী,কঙ্কাবতী দেবী প্রমুখ। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৩২ সালে। ‘দেনাপাওনা’ ও ‘পল্লী সমাজ’ -এর পরেই এল ‘দেবদাস’

১৯৩৬ সালে শরৎচন্দ্রের তিনটি কাহিনির চিত্র পাওয়া গেল নির্মিত হল ‘গৃহদাহ’ এবং ‘বিজয়া’‘গৃহদাহ’র পরিচালক বড়ুয়া। তিনি মহিম চরিত্রের শিল্পী। অচলার ভূমিকায় যমুনা বড়ুয়া। মৃণালের চরিত্রে মলিনা দেবী। সুরেশের চরিত্রে বিশ্বনাথ ভাদুড়ী।। সম্পাদক সুবোধ মিত্র। চিত্রগ্রাহক বিমল রায়। 

‘বিজয়া’ ছবির পরিচালক দীনেশ রঞ্জন দাস। এতে মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন পাহাড়ি সান্যাল, চন্দ্রাবতী দেবী, সায়গল, ইন্দু মুখোপাধ্যায় প্রমুখ। ১৯৩৬ সালে আরেকটি ছবি মুক্তি পেল ‘পন্ডিত মশাই’ পরিচালক সতু সেন সুরকার কমল দাশগুপ্ত এতে অভিনয় করেছিলেন রবি রায়, যোগেশ চৌধুরী, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, রাণীবালা প্রমুখ শিল্পী। 

১৯৩৬ সালে শরৎচন্দ্রের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হল ‘বড়দিদি’প্রযোজক নিউ থিয়েটার্স পরিচালক অমর মল্লিক। সুরকার পঙ্কজ মল্লিক বড়দিদির ভূমিকায় মলিনা দেবী সুরেন্দ্র চরিত্রে পাহাড়ী সান্যাল।  

১৯৪২ সালে শরৎচন্দ্রের কাহিনি নিয়ে নির্মিত হল ‘পরিণীতা’ পরিচালক পশুপতি চট্টোপাধ্যায় চিত্রগ্রাহক বিভূতি লাহা মুখ্য ভূমিকাগুলিতে ছিলেন ছবি বিশ্বাস, সন্ধ্যারানী, প্রভা দেবী, জীবন বসু প্রমুখ। 

১৯৪৩ সালে নীতিন বসুর পরিচালনায় নিউ থিয়েটার্স-এর ব্যানারে নির্মিত হল শরৎচন্দ্রের ‘কাশীনাথ’ নাম ভূমিকায় অসিতবরণ। অন্যান্য ভূমিকায় রূপদান করলেন সুনন্দা দেবী, ভারতী দেবী, অমর মল্লিক প্রমুখ শিল্পী।। চিত্রনাট্যকার নৃপেন্দ্রকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায়, সুরকার পঙ্কজ মল্লিক, গীতিকার প্রণব রায়। 

বাংলা ছবির বিখ্যাত নায়িকা গায়িকা কানন দেবীর প্রযোজনা সংস্থা ‘শ্রীমতি পিকচার্স’- এর ব্যানারে শরৎচন্দ্রের কাহিনির একাধিক চিত্ররূপ আমরা পেয়েছি ১৯৫০ সালে পেলাম ‘মেজদিদি’ সেখানে পরিচালক হরিদাস ভট্টাচার্য নাম ভূমিকায় কানন দেবী। অন্যান্য চরিত্রের শিল্পীরা হলেন জহর গঙ্গোপাধ্যায়, রেনুকা রায়, তুলসী চক্রবর্তী, শিখারানী বাগ প্রমুখ। 

kanondebi
মেজদিদি কাননদেবী

‘শনিবারের চিঠি’ পত্রিকার সম্পাদক সজনীকান্ত দাস যুক্ত হয়ে গেছিলেন শ্রীমতি পিকচার্সদের সঙ্গে তাঁর লেখা কথায় এবং কালীপদ সেনের সুরে কানন দেবীর গাওয়া ‘প্রণাম তোমায় ঘনশ্যাম’ গানটি আজও শ্রোতাদের মুগ্ধ করে রেখেছে।। কানন দেবীর প্রযোজনায় হরিদাস ভট্টাচার্যের পরিচালনায় নির্মিত হল শরৎচন্দ্রের ‘দর্পচূর্ণ’বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করলেন কানন দেবী, জহর গঙ্গোপাধ্যায়, রাধামোহন ভট্টাচার্য, তুলসী চক্রবর্তী প্রমুখ শিল্পী সুরকার কালীপদ সেন। গীতিকার সজনীকান্ত দাস। ১৯৫২ সালে ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল কানন দেবীর প্রযোজনায় ‘নববিধান’ নির্মিত হল ১৯৫৪ সালে এতে মুখ্য চরিত্রগুলিতে ছিলেন কানন দেবী, কমল মিত্র, মঞ্জু দে, জহর গঙ্গোপাধ্যায় প্রমুখ। সুরকার কমল দাশগুপ্ত। গীতিকার সজনীকান্ত দাস। 

১৯৫৭ সালে কানন দেবী প্রযোজনায় হরিদাস ভট্টাচার্যের পরিচালনায় নির্মিত হল শরৎচন্দ্রের ‘আঁধারে আলো’মুখ্য চরিত্রগুলিতে ছিলেন বসন্ত চৌধুরী, সুমিত্রা দেবী, বিকাশ রায়, জীবেন বসু, নীলিমা দাস প্রমুখ। সুরকার জ্ঞানপ্রকাশ ঘোষ গীতিকার শ্যামল গুপ্ত। সুচিত্রা-উত্তম জুটিকে কানন দেবী কাজে লাগালেন তাঁর শ্রীমতি পিকচার্স এর ব্যানারে নির্মিত ‘রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত’ ছবিতে সেখানে রাজলক্ষ্মীর ভূমিকায় সুচিত্রা সেন। শ্রীকান্তের ভূমিকায় উত্তম কুমার। ছবি মুক্তি পেল ১৯৫৮ সালে পরিচালক যথারীতি হরিদাস ভট্টাচার্য। সুরকার জ্ঞান প্রকাশ ঘোষ। 

rajlaknmi o shrikanro

১৯৫৯ সালের কানন দেবীর প্রযোজনায় নির্মিত হল ‘ইন্দ্রনাথ শ্রীকান্ত ও অন্নদা দিদি’পরিচালক হরিদাস ভট্টাচার্য। সুরকার পবিত্র চট্টোপাধ্যায় প্রধান ভূমিকাগুলিতে অভিনয় করলেন কানন দেবী, বিকাশ রায়, পার্থপ্রতিম চৌধুরী, মলিনা দেবী, গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। কানন দেবীর ‘শ্রীমতি পিকচারস’- এর ব্যানারে শরৎকাহিনির শেষ চিত্ররূপ পাওয়া গেল ১৯৬৫ সালে। ছবির নাম ‘অভয়া ও শ্রীকান্ত’ নাম ভূমিকা দুটিতে অভিনয় করলেন মালা সিনহা এবং বসন্ত চৌধুরী পরিচালক যথারীতি হরিদাস ভট্টাচার্য। সুরকার পবিত্র চট্টোপাধ্যায় গীতিকার শ্যামল গুপ্ত।

সুচিত্রা সেন ও উত্তম কুমার রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত ছবির আগেই শরৎচন্দ্রের কাহিনি চিত্ররূপে অভিনয় করেছেন। সেই ছবির নাম ‘চন্দ্রনাথ’ প্রযোজক শচীন বারিকপরিচালক কার্তিক চট্টোপাধ্যায় সুরকার রবীন চট্টোপাধ্যায়। গীতিকার প্রণব রায়। চন্দ্রনাথের ভূমিকায় অভিনয় করলেন উত্তম কুমার এবং সরযূ চরিত্রে সুচিত্রা সেন।এ ছাড়াও ছিলেন চন্দ্রাবতী দেবী, কমল মিত্র, রেনুকা রায়, জহর গঙ্গোপাধ্যায়। কৈলাস খুড়োর চরিত্রে জহর গঙ্গোপাধ্যায়ের অভিনয় চিরস্মরণীয় হয়ে আছে। সুচিত্রা উত্তম জুটিকে শরৎচন্দ্রের কাহিনিতে আবার পাওয়া গেল ‘গৃহদাহ’ ছবিতে উত্তম কুমার প্রযোজিত সেই ছবির পরিচালক সুবোধ মিত্র যিনি একসময় প্রমথেশ বড়ুয়ার গৃহদাহ’তে সম্পাদকের কাজটি করেছিলেন। এখানে মহিম উত্তম কুমার অচলার চরিত্রে সুচিত্রা সেন। মৃণালের ভূমিকায় সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়। সুরেশের চরিত্রে প্রদীপ কুমার। 

kamal lata
কমললতা ছবির পোস্টার

প্রসঙ্গত আরও উল্লেখযোগ্য যে, মহিমের গ্রামের বাড়ির আউটডোর শুটিংটি হয়েছিল, সাম্প্রতিককালে সবচেয়ে আলোড়িত কামদুনি গ্রামে। সুচিত্রা উত্তম জুটি নিয়ে শরৎকাহিনিতে নির্মিত শেষ ছবিটি হল ‘কমললতা’ নাম ভূমিকায় সুচিত্রা সেন। শ্রীকান্তের চরিত্রে উত্তম কুমার। চারু চিত্র -এর ব্যানারে এই ছবি নির্মিত পরিচালক হরিসাধন দাশগুপ্ত সুরকার রবীন চট্টোপাধ্যায় গেয়েছিলেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায়, শ্যামল মিত্র প্রমুখ শিল্পীরা

উত্তম ব্যতিরেকে সুচিত্রা সেন শরৎকাহিনিতে অভিনয় করেছেন। সে ছবির নাম ‘দত্তা’প্রযোজক বিমল দে। পরিচালক অজয় কর। সুরকার হেমন্ত মুখোপাধ্যায়এখানে বিজয়া চরিত্রে সুচিত্রা নরেনের চরিত্রে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় এবং রাসবিহারীর ভূমিকায় উৎপল দত্ত। 

উত্তম কুমার শরৎচন্দ্রের কাহিনিতে আরও অভিনয় করেছেন বড়দিদি, বিরাজ বৌ, সব্যসাচী, দেবদাস, দর্পচূর্ণ প্রভৃতি ছবিগুলিতে।। এর মধ্যে আলাদা করে উল্লেখ করতেই হয় সব্যসাচীর কথা কারণ ‘পথের দাবী’ অবলম্বনে এই সব্যসাচী নির্মিত পরিচালক উত্তম কুমারের স্নেহধন্য পীযূষ বসু আর এই ছবির সংগীত পরিচালক উত্তম কুমার বহু দেশাত্মবোধক গান এই ছবিতে তিনি ব্যবহার করেছিলেন। 

Uttamk Kumar in Pother Dabi Cinema
পথের দাবি অবলম্বনে সব্যসাচী ছবির একটি দৃশ্যতে উত্তমকুমার

দিলীপ রায় পরিচালিত ‘দেবদাস’ ছবিতে উত্তম কুমার অভিনয় করেছেন চুনিলালের চরিত্রে সেখানে দেবদাস ও পার্বতী হয়েছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় ও সুমিত্রা মুখোপাধ্যায় চন্দ্রমুখী চরিত্রে সুপ্রিয়া দেবী। সুরকার কালীপদ সেন নজরুলের একটি গানকে দারুণ ভাবে ব্যবহার করেছিলেন।গানটি হল ‘শাওন  রাতে যদি’ (নেপথ্যে কণ্ঠে মান্না দে)

বিভিন্ন সময় শরৎচন্দ্রের যেসব কাহিনিচিত্র আমরা পেয়েছি তার মধ্যে রয়েছে পথের দাবী, অরক্ষনীয়া, রামের সুমতি, বিন্দুর ছেলে, অনুরাধা, স্বামী, বামুনের মেয়ে, বৈকুন্ঠের উইল, শুভদা, হরিলক্ষী, নিষ্কৃতি, ষোড়শী, পরেশ ইত্যাদি ছবি। এর মধ্যে বৈকুন্ঠের উইল, দর্পচূর্ণ, দেবদাস, রামের সুমতি, বিন্দুর ছেলে, মেজদিদি, দত্তা প্রভৃতি একাধিকবার নির্মিত হয়েছে

আপাতত  তিনটি কাহিনির চিত্ররূপ পাওয়া গিয়েছে সেগুলি হল মেজদিদি, দেবদাস এবং দত্তা প্রথমটির নাম ভূমিকায় দেবশ্রী রায় দেবদাসের নাম ভূমিকায় প্রসেনজিৎ আর দত্তায় বিজয়ার চরিত্রে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত দুর্বল চিত্রনাট্যের জন্য এই তিনটি ছবি বক্স অফিসে চূড়ান্ত ব্যর্থ হয়েছে। মাঝে বাংলা ছবি থেকে সাহিত্য উধাও হয়ে গিয়েছিল। আবার সাহিত্যের চিত্ররূপ যখন আমরা পেতে শুরু করেছি, তাতে অদূর ভবিষ্যতে হয়তো আবার শরৎকাহিনির সাড়া জাগানো চিত্ররূপ আমরা পাবো, তাতে নিশ্চয়ই সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে বাংলা ছবির জগত।